পাগলীটি মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ
ঘটনাটি ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবারের। চারদিকে অন্ধকার। হঠাৎ চার বন্ধু এক মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলেন। ছুটে গেলেন, গিয়ে দেখেন এক মহিলা বাচ্চা প্রসব করেছেন। মহিলাটি কান্না করছেন, তার আচরণ, কথাবার্তা ভারসাম্যহীন। মেয়ে শিশুটি জন্ম নিয়েছে রাস্তায় পাশে এক বালির মাঠে, প্রসব বেদনায় চিৎকার করছেন পাগলী। এলাকায় তার নাম সালমা পাগলী। পরে চার বন্ধু দেখতে পান নবাগত বাচ্চাটির চোখে মুখে বালি লেগে আছে। বেঁচে আছে কি না বোঝা যাচ্ছিল না।
সামাজিক মাধ্যমে এ চারবন্ধুর মধ্যে অমির দেয়া স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, শিশুটির নাড়ি লেগে আছে পাগলীর নাড়িতে, সারা গাঁ রক্ত আর বালিতে একাকার হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রসবের পর ব্যথায় চিৎকার করছেন। তখন তারা আশপাশের কিছু মহিলার সহায়তা কামনা করেন। কিন্তু মহিলাদের অনেকে এসে জড়ো হলেও কেউ পাগলী বলে তার শিশুটির নাড়ি কাটতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে উপায় না দেখে চার বন্ধু মিলে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মা ও নবজাতককে। পরে তারা সকলের সহযোগিতা চান সামাজিক মাধ্যমে। এতে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
চার বন্ধু হলেন অমি, সাগর, ইব্রাহীম, আজিজ। মাদারীপুরের এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। পরে আরটিভি অনলাইন ঘটনার খোঁজ নিয়ে সতত্যা পেয়েছে।
মেয়েটির সুন্দর একটি নাম রাখা হয়েছে। জান্নাতুল হাবিবা হুমাইয়রা।
হুমাইরার বাবা কে তা হয়তো কখনো জানা যাবে না, কিন্তু একদিন সে জানবে তার অচেনা মামারা তাকে বাঁচিয়েছিলো, তার মাকে দিয়েছিলো নতুন এক পৃথিবী।
এমন একটি ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পাগলী এবং তার সন্তান দুজনই এখন সুস্থ আছেন। কেউ গেলেই পাগলী খুশিতে বারবার বলছেন দেখো তোমার মামারা এসেছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো আবু জাফর জানান, ২০ তারিখ রাতে কয়েকজন লোক নবজাতক শিশু ও মাকে নিয়ে আসেন। তারা এখন সুস্থ আছেন।
মেয়েটির সুন্দর একটি নাম রাখা হয়েছে। জান্নাতুল হাবিবা হুমাইয়রা।
হুমাইরার বাবা কে তা হয়তো কখনো জানা যাবে না, কিন্তু একদিন সে জানবে তার অচেনা মামারা তাকে বাঁচিয়েছিলো, তার মাকে দিয়েছিলো নতুন এক পৃথিবী।
এমন একটি ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পাগলী এবং তার সন্তান দুজনই এখন সুস্থ আছেন। কেউ গেলেই পাগলী খুশিতে বারবার বলছেন দেখো তোমার মামারা এসেছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো আবু জাফর জানান, ২০ তারিখ রাতে কয়েকজন লোক নবজাতক শিশু ও মাকে নিয়ে আসেন। তারা এখন সুস্থ আছেন।
No comments